স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, যশোরের পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক এবং যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ও প্রবেশন অফিসারকে রেজিস্ট্রি ডাকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী এ নোটিশ পাঠান।
তিনি বলেন, নিহত কিশোর পারভেজ হাসানের (১৮) বাবা রোকা মিয়া, নাইম হাসান ওরফে আবু নাইমের (১৬) বাবা মো. নান্নু এবং রাসেল ওরফে সুজনের (১৮) বড় ভাই সাইফুল ইসলাম নান্টুর পক্ষে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব ছিল শিশু/ কিশোরদের রক্ষা করা। কিন্তু তারা তা না করে শিশুদের হত্যা করেছে।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট ওই কেন্দ্রে মারপিটের ঘটনায় তিন বন্দী কিশোর নিহত হয়। এ সময় আহত হয় আরও ১২ জন।
এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট রাতে নিহত এক কিশোরের বাবা যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ওই কেন্দ্রের পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে চারজনকে সমাজসেবা অধিদপ্তর সাময়িক বরখাস্ত করেছে। আর ইউনিসেফের নিয়োগ করা সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি।
নোটিশে আগামী ২৪ আগস্টের মধ্যে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ দেয়া না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টিও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।